চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক (Heat stroke) বলে।
আমাদের দেশে এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মানুষের মধ্যে এই রোগটি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
হিট স্ট্রোকের(Heat stroke) লক্ষণ সমূহ:
১.হিট স্ট্রোকের আগে ত্বক শুষ্ক আর লালচে হয়ে ওঠে। শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে এবং প্রচণ্ড পিপাসা পায়। দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের (Heat stroke) একটি অন্যতম লক্ষণ।
২) হিট স্ট্রোকের সময় নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়ে যায়।
৩) হিট স্ট্রোকের আগে রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায়।
৪) শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এসময় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে।
৫) এ সময় শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
৬) রোগী শকেও চলে যায়। এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
হিট স্ট্রোক (Heat stroke) থেকে বাঁচার উপায় বা প্রতিকার:
গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললেই হিট স্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
১) হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো।
২) যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন।
৩) বাইরে যেতে হলে টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করুন।
৪) বাইরে যাঁরা কাজকর্ম করেন, তারা ছাতা বা মাথা ঢাকার জন্য কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
৫) গরমে ঘামের সঙ্গে জল ও লবণ দুই-ই বের হয়ে যায়। তাই জলের সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন-খাবার স্যালাইন, ফলের রস, শরবত ইত্যাদিও পান করতে হবে। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস