শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা,স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তির ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন 'এ' অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি
এটি অসম্পৃক্ত জৈব যৌগের একটি গ্রুপ এবং চর্বিতে দ্রবণীয় । ভিটামিন এ মানবদেহে তৈরী হয় না। সুতরাং ভিটামিন এ' খাদ্য বা সম্পূরক মাধ্যমে গ্রহন করা আবশ্যক।
খাবারে প্রাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ র গঠন ও উৎসঃ
রেটিনয়েড- প্রানীজ্জ খাদ্য উৎসে পাওয়া যায়,
ক্যারটিনয়েড- উদ্ভিজ্জ খাদ্য উৎসে পাওয়া যায়।
ভিটামিন ‘এ’র প্রয়োজনীয়তাঃ
১।শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখা,
২। চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি বজায় রাখা,
৩। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা,
৪। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করা,
৫। ত্বকের শুষ্কতা দূর করা।
ভিটামিন ‘এ’র অভাবের মূল কারনসমূহঃ
•অপর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন
•জন্মের পর শিশুকে শাল দুধ না খাওয়ানো
•নিয়মিতভাবে ও পর্যাপ্ত সময় ধরে শিশুকে মায়ের দুধ না খাওয়ানো
•যথাযথভাবে পরিপূরক ও সুষম খাবার না খাওয়ানো
•দারিদ্রতা ও ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার ক্রয়ের অক্ষমতা
•ভিটামিন ‘এ’র প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব।
সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলঃ
•যেহেতু ভিটামিন ‘এ’র অভাব একটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা তাই সম্পূরক খাদ্য হিসেবে বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
•শিশুর দেহে ভিটামিন ‘এ’র অভাব প্রতিরোধের জন্য ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো - অল্প সময়ে অত্যন্ত কার্যকরী একটি কৌশল যা পরবর্তী ৪-৬ মাস পর্যন্ত শিশুর দেহে ভিটামিন ‘এ’ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে সক্ষম।
আপনার শিশুকে ভিটামিন "এ" ক্যাপসুল খাওয়ান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস